ব্লাকমেইল করে নারীদের সম্ভ্রম ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেসের পরিচালক আমির হোসেনের নামে 

খবরটিভি ডেস্কঃ অনুসন্ধানে জানা জায় ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেসে চাকুরির সুবাদে গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের শুরুতে ভুক্তভোগীর স্বামীর সাথে ভুক্তভোগীর বাসায় যাতায়াত শুরু করে। এবং একসময় ভুক্তভোগীর স্বামীকে পরামর্শ দেন একই বিল্ডিংয়ে বাসা নেয়ার জন্য। তখন ভুক্তভোগীর স্বামী পরামর্শ অনুযায়ী কমলাপুরের একই বাড়িতে বাসা ভাড়া নেন।  আমির থাকতেন ৬ তলায় এবং ভুক্তভোগী থাকতো নিচ তলায়। আর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ভুক্তভোগীর স্বামী যখন বাসায় না থাকতেন তখনই আমির বাসায় যেতেন এবং ভুক্তভোগীর বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন কিছু কিনে নিয়ে যেতেন। এভাবে বাসায় যেতে যেতে ভুক্তভোগীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করে। একদিন বাসায় ঢুকে ভুক্তভোগীর সাথে অশোভনীয় আচারন করে তখন ভুক্তভোগী ক্ষিপ্ত হয়ে আমির কে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এবং কয়েকদিন পরে তারই জের ধরে হঠাৎ করে ভুক্তভোগীর বাসায় এসে দরজায় নক করে এবং বাচ্চা দরজা খুলে দেয়, ঘরে ঢুকে বাচ্চার কাছে জিজ্ঞেস করে তোমার আম্মু কোথায় বাচ্চা বলে আম্মু গোসল খানায় গোসল করে। তখন বাসায় কেউ না থাকায় ভুক্তভোগী দরজা চাপিয়ে গোসল করতে ছিল আর এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আমির হোসেন গোপনে ভুক্তভোগীর গোসলের ভিডিও ধারন করে এবং কিছু না বলে চলে যায়। তার একদিন পরে আমির হোসেন ভুক্তভোগীকে ফোন করে বলে আপনি ৬ তলায় আসেন আপনাকে একটা জিনিস দেখাবো তখন ভুক্তভোগী যেতে না চাইলে তাকে বলে আমার কাছে এমন একটা ডকুমেন্ট আছে সেটা যদি আপনার স্বামীকে দেখায় বা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেই তাহলে আপনি লোক সমাজে মুখ দেখাতে পারবেননা। ভুক্তভোগী এমন কথা শুনে গাছ থেকে পড়েন এবং সেটা দেখার জন্য ৬ তলা চলে যান। গোসলের ভিডিও দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনার জন্য শর্ত জুড়ে দেন এভাবে শুরু হয় আমিরের ব্লাকমেইল আর ভুক্তভোগীর শরীর ভোগ। যখনই ভুক্তভোগের স্বামী বাসায় না থাকে তখনই ভুক্তভোগী কে ফোন দিয়ে ডেকে ৬ তলায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতো আমির হোসেন। এবং বিভিন্ন সময় আমির হোসেন ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে যেতো তার পরিচিত মুগদার একটি বাসায় সেখানেও ভুক্তভোগীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো। মুগদার বাসাতেও নাকি তাদের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও আছে বলে ব্ল্যাকমেইলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এভাবে চলতে থাকে তাদের শারীরিক সম্পর্ক দীর্ঘ ৬ মাস পর ভুক্তভোগীর স্বামী তাদের সম্পর্ক জানতে পেরে বিচার দেন ইম্পিরিয়াল এক্সপ্রেস এর কর্মকর্তাদের কাছে। কর্মকর্তারা আমির হোসেন কে শাসিয়ে দেন এবং পরবর্তীতে আর যেন এমন অপরাধ না হয় বলে হুঁশিয়ারি করে দেন। তারপরও থেমে থাকিনি আমির হোসেনের ব্লাকমেইল, আবারো আগের মত ব্ল্যাকমেইল করে দীর্ঘ এক বছর ভুক্তভোগীর শরীর ভোগের পাশাপাশি নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার বিক্রি করে হাতিয়ে নেয় ৯ লক্ষ টাকা। ঈদের পরের দিন ভুক্তভোগীর স্বামী ভুক্তভোগীর কাছে রাখা টাকা চাইলে টাকা দিতে না পারায় রাগারাগি করে, একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তার স্বামীর কাছে সবকিছু খুলে বলে দেয়। ভুক্তভোগীর স্বামী উপায়ন্তর না দেখে ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেস এর মালিকদের কাছে জানায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেন। তখন ভুক্তভোগী মতিঝিল থানায় আমির হোসেনের নামে টাকা পয়সা আত্মসাৎ ও ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১৭ এপ্রিল আমির হোসেন ভুক্তভোগীকে মীমাংসার জন্য ফোন করে ও ভুক্তভোগী তার ব্যক্তিগত কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়। আমির হোসেন ভুক্তভোগী কে দেখা করার জন্য ফোন দিয়ে আমির হোসেনের বাসার সামনে দাঁড়াতে বলে। কিছুক্ষণ পর আমির হোসেন ও তার স্ত্রী এবং সাথে থাকা দুই তিন জন ব্যক্তি এসে ভুক্তভোগী কে শাষাতে থাকে ও বলতে থাকে মতিঝিল থানায় অভিযোগ কেন করেছে এই বলে একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর সাথে হাতাহাতি শুরু করে ও হাতে থাকা আমির হোসেনকে বিভিন্নভাবে টাকা দেয়া ডকুমেন্ট সম্বলিত মোবাইল ফোনটি ও সাথে থাকা টাকা ও স্বর্ন অলংকার ছিনিয়ে নেই। এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় ভুক্তভোগী একটি অভিযোগ দায়ের করে। খবরটিভি'র অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে এসেছে আমির হোসেন কুমিল্লার দুটি থানায় নারী কেলেঙ্কারির ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন থানায় তার নামে মামলা চলমান রয়েছে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় আমির হোসেন তারই সেলসম্যানের স্ত্রীর সাথে দীর্ঘ তিন বৎসর শারীরিক সম্পর্ক করার পরে মানিকনগর এলাকার লোকজন জানতে পেরে আমির হোসেন কে মারধর করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এবং বিভিন্ন সময় স্টাফদের অল্প ত্রুটির কারণে চাকরি থেকে বের করে দেয় আর সে চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য ষ্টাফদের স্ত্রীরা ফোন দিয়ে চাকরিটা ফিরে পাওয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করে আর এ দুর্বলতা টাকে পুঁজি করে তাদের স্ত্রীদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এই আমির হোসেন ছয় তলায় তার ভাড়া কৃত ফ্ল্যাটে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়ে নিয়ে থাকতো এবং আমির হোসেন বিভিন্ন জায়গায় আরো পাঁচটি ফ্লাট ভাড়া করে রেখেছে সেখানে একএক সময় এক এক জন মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করতো। ( চলমান )