গাজীপুরে ট্রেন-বাস সংঘর্ষে নিহত ২

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ট্রেন ও যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন এবং ঘটনায় আহত হয়েছে আরও তিনজন।

শনিবার (৭ নভেম্বর) ভোরে কালিয়াকৈর উপজেলার সোনাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- নেত্রকোনা জেলার মুন্সীপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে মাসুদ (২৮)। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে নিহত নারীর পরিচয় জানা যায়নি।

আহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার কাজুলিয়া গ্রামের আকতার সরকারের ছেলে কামরুল সরকার, নেত্রকোনা জেলার কমলা কান্দা গ্রামের মোস্তফা আলীর ছেলে মানিক মিয়া, একই জেলার নিজামপুর গ্রামের শাহ নেওয়াজের ছেলে হারুন।

ট্রেনের যাত্রী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, নীল সাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ৮টায় চিলহাটি স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। অপর দিকে এন, কে সিয়াম পরিবহন বাসটি নেত্রকোনা থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বেগুনবাড়ি এলাকায় ইটখোলার শ্রমিক নামিয়ে দিয়ে নেত্রকোনা ফিরছিল। পথে উপজেলার সোনাখালী এলাকায় রেল সিগন্যাল পার হওয়ার সময় রেলগেট সিগন্যালের খুটি নামানো না থাকায় ট্রেন ও যাত্রীবাহী বাস মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বাসটিকে সোনাখালী থেকে ভোঙ্গাবাড়ি এক কিলোমিটার মিটার পর্যন্ত ধাক্কাতে ধাক্কাতে নিয়ে এসে ট্রেনটি থামে। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এক নারী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অপর ৪জনকে এলাকাবাসী আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালে মাসুদ মারা যায়। বাকী তিন জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোনাখালি রেলগেটটির লাইনম্যান ঘুমিয়ে থাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এর পূর্বেও লাইনম্যানের অসতর্কতার কারণে আরও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা কবিরুল আলম জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি রেল লাইনের মাঝখানে থাকায় উদ্ধারকারী টিম বাসটিকে দ্বি-খণ্ডিত করে প্রায় ৫ঘন্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক করে। এই ঘটনায় এক নারী ও এক পুরুষ নিহত এবং তিন জন আহত হয়েছে।